আলহামদুলিল্লাহ আজ আমার জন্মদিন…
ইতিমধ্যে অনেকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিয়েছেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আমার মতো একজন অতি ক্ষুদ্র মানুষের জীবনে যদিও জন্মদিনের তেমন কোন গুরুত্ব নেই তবুও আমার সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর প্রতি লাখো কোটি শুকরিয়া। আমার প্রাণপ্রিয় বাবা-মায়ের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যাদের কল্যাণে আমি আজ “রাজা”। আমি সবার কাছে দোয়া চাই, আমি যেন আমার জন্মকে সার্থক করতে পারি আমার কর্মের মাধ্যমে। আমার প্রজন্মের জন্য যেন রেখে যেতে পারি অনুকরণীয় এমন কিছু যার মাধ্যমে মানবতা সামান্যতম হলেও উপকৃত হয়।
আমি যখন আমার পেছনে তাকাই, তখন দিন, মাস, বছর পেরিয়ে চলে যাই সেই অতীতে যেখানে আমার শুরু। আমার মুখের ভাঙ্গা, ভাঙ্গা কথা আর একটু হাসিতে তৃপ্ত হত সবাই। আমাকে নিয়ে কতই না স্বপ্নের জন্ম হয়েছিল তখন!
আজ শৈশব, কৈশর আর অনেকটা সময় পেছনে ফেলে যৌবনে আমি। জীবন চলার বাঁকে জন্মদিয়েছি কত রূপকথা। ছোট্ট একটা জীবনে কত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছি।! এই পৃথিবীতে এমনি একটি দিনে আমি এসেছিলাম, আজ সেই দিন। সেই জন্য আমি আমার সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আল আমিনের কাছে দায়বদ্ধ। তিনি আমায় সৃষ্টি করেছেন তিনিই আমার রব।
প্রত্যেকটি মানুষের কাছে তার জন্মদিনের বার্তাটি আনন্দের। আমার কাছেও তাই তেমনই। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় মানুষ আজ হতাশাগ্রস্থ। মানুষের মাঝে আজ আন্তরিকতা, ভালবাসার বড়ই অভাব। কেউ কাউকে যেন বিশ্বাসই করতে চায় না। এটা আমাদের জন্য দূভাগ্যের। যখন আপন মানুষগুলোও ভুল বোঝে তখন তা আরও কষ্টের।
জম্ম হল মানুষের পৃথিবী জীবনের শুরু। জম্ম ব্যাপারটাকে যত খুশির বলে মনে করা হয়ে আসলে তা তেমন খুশির নয়। জম্ম হওয়া মানে মৃত্যু ফলে বিজ বোনা। আর মৃত্যুর কথা স্মরন হলেই মন খারপ হয়ে যায়। এই বুঝি আজরাইল হাজির হইল। খালি ভয়। অবশ্য আল্লাহ ও তার রাসুল মৃতুকে স্মরন করতে বলেছেন বেশী বেশী। এতে মন নরম হয়। জগতের প্রতি মোহ থাকেনা।
পছন্দ অপছন্দ যাই করি না কেন এটা চির সত্য প্রত্যেকটি আত্মাকেই মৃত্যুর স্বাধ পেতে হবে। বর্তমান মানব সম্প্রদায় এই চির সত্যকে ভুলে থাকতে চেষ্টা করছে। আর জন্য তারা গা ডুবিয়ে দিচ্ছে নান ধরনে বিলাস ব্যসনে। কিন্তু মৃত্যুকে ভুলে থাকলেই কি সব সমস্যার সামাধান হয়ে যাবে। জম্ম দিনের এতো আনন্দ কেক কাটা হই হুল্লোরের মাঝে ভুলে যাই আমার জীবন থেকে খসে পড়ল আরো একটি বছর। ঝড়ে যাচ্ছে বছরগুলো এক এক করে। হায়াত কমছে।
পবিত্র আলকোরআনে জম্মানো কারন হিসাবে বলা হয়েছে ইবাদতে কথা। অর্থাত আল্লাহর আরাধনা করার জন্যই প্রানের সৃষ্টি। প্রতিটি প্রানীই তার নিজস্ব ঢংগে আরাধান করে। কিন্তু মানব সম্পদায় তার আরধনা দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করেনা। সে ভুলে থাকতে চায় মুত্যর মত তার জম্মের উদ্দেশ্যকেও। জম্ম –মৃত্যু যতই ভাল বা খারাপ হোক না কেন, মনে রাখতে হবে জম্মের মাধ্যাম বান্দার পরিক্ষার হলে প্রবেশ। মৃত্যর মাধ্যমে পরিক্ষার সমাপ্তী। পরীক্ষার হলে বসে বসে কেউ যদি না লেখে সময় ন্ষ্ট করে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থ। তেমনি দুনিয়াতে যতক্ষন থাকা হবে ততক্ষন যদি মানুষ ভোগবিলাসে কাটিয়ে মূল্যবান জীবন নষ্ট করা হয় তাহেলে একইরকম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
আমরা দুনিয়াতে আমলে সলেহ করলে অর্থাত সত কাজ করলে একদিকে আল্লাহর ইবাদত হত অন্যদিকে মানুষের খেদমত হত। হক্কুল ইবাদ অর্থাত মানুষের হক যে আদায় করে সে আল্লাহর খুব পছন্দের। এই মানবিক চেতনা মানুষকে দিতে পারে শান্তির ফুলগুধারা। মানবজাতি যদি মনে রাখত তাকে একদিন তার স্রষ্টার সাথে মিলিত হতে হবে। তখন এই ভাল কাজই তার মুক্তির উছিলা হতে পারে। তাই বেশী বেশী মৃত্যুকে সম্মরন করে ভালে কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আমারা দুনিয়ার সবাই যদি মুত্যকে স্মরন করতাম তাহলে সমাজে পাপ অনেক কমে যেত। মৃত্যু মানেইতো আল্রাহর কাছে জবাব দিহি দেয়া।
দুনিয়ে আখেরাতের শষ্য ক্ষেত্র- আল হাদিস।
শষ্য ক্ষেত্রে এখন যদি ভালভাবে কাজ করি আখেরে ভাল ফসল পাওয়া যাবে। আর তা না হলে সরবহারা হয়ে কেয়ামতের ময়দানে আহাজারী করতে হবে। তাই জম্মদিনে শপথ নিন এখন থেকে জীবন সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করব।
জম্মদিনে আনন্দ নয়
যাচ্ছে কমে আয়ু
এভাবে কমেই একদিন
বের হবে প্রান বায়ু।
এ কথাটি স্মরন করে
কর ভাল কাজ
আখেরে স্রষ্টার কাছে
না পাও যেনো লাজ।
জম্মদিনে দোয়া চাই
যত দিন বাঁচি
থাকি যেনো স্রষ্টা আর
সৃষ্টির কাছাকাছি।
মা-বাবা, ভাই ও কিছু মানুষের ঋণের কথা বলার হিম্মত আমার নেই। সকলের মুখে হাসি ফুটাতে লড়ে যাচ্ছি জীবন সংগ্রামে। গত হওয়া সময়ের সাথে যোগ হচ্ছে আরো একটি বছর। সকলের কাছে সব ভুলের ক্ষমা চাচ্ছি। তারো আগে ক্ষমা চাই মহান রবের কাছে।
আজ ও আগামীর দিনগুলো সবাইকে নিয়ে ভাল থাকতে চাই। চাই সুন্দর কিছু মানুষদের সাথে ভালভাবে বেঁচে থাকতে।সবাই দোয়া করবেন।
আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কেনো না, ফেসবুকের মাধ্যমে এই ক্ষুদ্র আমি আজ পেয়েছি, দেশের খ্যাতনামা অনেক সিনিয়র সাংবাদিক-সম্পাদক, কবি-সাহ্যিতিক, ব্লগার-অনলাইন এক্টিভিটিস্ট, রাজনীতিবিদ আর নানা পেশার আমার পরিচিত অপরিচিত ভাই বন্ধুদের শুভেচ্ছা বাণী। অনুপম কাব্যিক শুভেচ্ছাবার্তা, ভার্চুয়াল নৈসর্গিক উপহার আর ফুলেল শুভেচ্ছায় মন প্রফুল্ল হয়েছে বারবার।মনে হল এখনও বেচে আছি, ভাল আছি। আসলে ভাল আছি তা মাঝে মাঝে ভাবতেও ভাল লাগে। শুভ জন্মদিন আমার নিজেকে, সেই সাথে সকলের জন্য দোয়া রইলো, সবাই ভাল থাকুক, আল্লাহ সবাইকে ভাল থাকার ক্ষমতা দান করুক।
আমি সত্যিই ধন্য। আমি কৃতজ্ঞ আমার সব প্রিয় বন্ধুদের কাছে। অনেক বন্ধুই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, দোয়া করেছেন এ জন্য ধন্যবাদ ।আল্লাহ সকলকে উত্তম প্রতিদানে ভূষিত করুন ।
আবদুল্লাহ আল আজিজ
সম্পাদক ও প্রকাশক
কক্সবাজার জার্নাল ডটকম
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-